১ টাকাও খরচ না করে গলার সব কফ দূর করুন ম্যাজিকের মতো!
কখনো কি এমন হয়েছে যে, গলা পরিষ্কার করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেছেন, কিন্তু তবুও আরাম পাচ্ছেন না? সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মনে হচ্ছে গলা ভারী হয়ে আছে, কথা বললেই যেন আটকে যাচ্ছে, খুসখুসে কাশি হচ্ছে, মাঝে মাঝে শ্বাসও নিতে কষ্ট হচ্ছে! আর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় যখন আপনি কারো সঙ্গে কথা বলছেন আর হঠাৎ করে গলার ভেতর থেকে একটা "গড় গড়" শব্দ বেরিয়ে আসে!
ভীষণ অস্বস্তিকর, তাই না? আর সবচেয়ে বাজে ব্যাপারটা হচ্ছে, জল খেয়েও এই অনুভূতিটা যাচ্ছে না!
কিন্তু কেন এমন হয়?
আপনার শরীর কিন্তু ইচ্ছে করে আপনাকে বিরক্ত করছে না! আসলে আমাদের শরীর স্বাভাবিকভাবেই মিউকাস তৈরি করে, যা আমাদের গলা আর শ্বাসনালীকে রক্ষা করে। কিন্তু যখন এটা অতিরিক্ত পরিমাণে তৈরি হতে শুরু করে, তখনই বিপদ!
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, গলায় অতিরিক্ত কফ জমার কারণ কী?
আপনার কি প্রায়ই ঠান্ডা লেগে থাকে?
ধুলাবালি বা অ্যালার্জিতে নাক বন্ধ হয়ে যায়?
আপনার কি গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে?
আপনি কি ধূমপান করেন বা বেশি দুগ্ধজাত খাবার খান?
এই সমস্যাগুলোর যেকোনো একটা থাকলেই কিন্তু আপনার গলায় কফ জমতে শুরু করবে! আর একবার কফ জমে গেলে সেটা সহজে বের হতে চায় না!
আর তখনই শুরু হয় ভয়ানক অস্বস্তি, বিরক্তিকর কাশি, এবং মাঝে মাঝে ঘুমের মধ্যেও নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়!
কিন্তু চিন্তা করবেন না! কারণ আজকে আমরা আপনাকে 5 টি একদম প্রাকৃতিক এবং সহজ সমাধান বলবো, যা মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনার গলার কফ একেবারে পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে!
১. গরম পানি
গরম পানি সবচেয়ে সহজ কিন্তু সবচেয়ে কার্যকরী! প্রথমেই বলি, আপনি কি পর্যাপ্ত পানি পান করেন? যদি উত্তর হয় "না", তাহলে বুঝে নিন সমস্যার অর্ধেক কারণ এখানেই লুকিয়ে আছে! আমাদের শরীর যখন পর্যাপ্ত পানি পায় না, তখন কফ আরও ঘন হয়ে যায় এবং গলায় আটকে থাকে!তাহলে সমাধান কী? সরাসরি গরম পানি পান করুন! এটা শুনে হয়তো ভাবছেন, "উফফ, গরম পানি খেতে ভালো লাগে না! কিন্তু বিশ্বাস করুন, যদি আপনি দিনে অন্তত ৫-৬ বার হালকা গরম পানি খান, তাহলে গলায় জমে থাকা কফ ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে যাবে এবং সহজেই বেরিয়ে আসবে! একবার ট্রাই করে দেখুন, ইনশাহআল্লাহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পার্থক্য অনুভব করবেন!
২. মধু ও আদার ম্যাজিক!আপনি কি জানেন, মধু আর আদা একসঙ্গে খেলে এটা আপনার গলার জন্য এক প্রাকৃতিক সিরাপের মতো কাজ করে? ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে ১ চা চামচ আদার রস মিশিয়ে খেয়ে নিন!
এটা এমন একটা টিপস, যেটা হয়তো আপনি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছেন, কিন্তু কখনো সিরিয়াসলি নেননি! তবে জানেন কি? শুধু লবণ-পানি দিয়ে গার্গল করলেই গলার ভেতরের জীবাণু কমে যায়, কফ পাতলা হয়ে বেরিয়ে আসে! আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এটা করতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় লাগে!
তাহলে আর দেরি কেন? এখনই ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চিমটি লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন! দেখবেন, মাত্র একবারেই গলা পরিষ্কার লাগবে!
৪. গরম পানির ভাপ নিন!
আপনার কি কখনো এমন হয়েছে যে, ঠান্ডা লেগে গলা ভারী হয়ে গেছে, কিন্তু গরম পানির ভাপ নিতেই একদম ফ্রেশ ফিল করেছেন?
কারণটা খুবই সহজ! গরম পানির ভাপ আপনার গলার ভেতরের জমে থাকা কফকে ধীরে ধীরে গলিয়ে দেয়, এবং নাক-গলার সব জমাট বাঁধা মিউকাস বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে! তাহলে কী করবেন?একটা বড় বালতিতে গরম পানি নিন, মাথার উপর তোয়ালে দিন এবং ধীরে ধীরে সেই ভাপ নাক দিয়ে টানুন! বিশ্বাস করুন, মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই আপনি অন্যরকম স্বস্তি অনুভব করবেন!
৫. তুলসী পাতার চা পান করুন!
আমরা অনেকেই চা পছন্দ করি, কিন্তু যদি একটু তুলসী পাতা ফেলে চা বানিয়ে খাই, তাহলে এটা গলার কফের জন্য দারুণ কাজ করবে! কারণ তুলসীতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা গলার ভেতরের ব্যাকটেরিয়া দূর করে এবং কফ গলিয়ে বের করে দেয়!
তাহলে এখন থেকে কী করবেন?
প্রতিদিন সকালে ১ কাপ গরম তুলসী চা পান করুন, দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যেই গলার কফ কমতে শুরু করবে!
বোনাস টিপস!
এবার একটা সিক্রেট টিপস বলি, যা অনেকেই জানেন না! যদি খুব দ্রুত কফ দূর করতে চান, তাহলে ১ গ্লাস গরম পানিতে সামান্য গোল মরিচ গুঁড়ো, মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন! এটা পান করার সাথে সাথেই দেখবেন আপনার কফ সব দূর হয়ে গেছে। এটা একেবারে "কফ কিলার" হিসেবে কাজ করবে!
এই 5 টি টিপস অনুসরণ করলে আপনার গলা সবসময় পরিষ্কার থাকবে! আর আপনি কোন টিপস ট্রাই করবেন? তা নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
কোন মন্তব্য নেই